মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে একটি দ্বীপ থেকে শিশুসহ ৫৯ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে থাইল্যান্ডের পুলিশ। থাইল্যান্ডের সাতুন প্রদেশের একটি দ্বীপে তাদের ফেলে যাওয়া হয়েছিল। রয়্যাল থাই পুলিশ মানবপাচারকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। খবর ব্যাংকক পোস্ট।
থাইল্যান্ডের সহকারী পুলিশ প্রধান পোল লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুরাচাতে হাকপার্নকে তদন্তকারীদের মামলার গভীরে যেতে সহায়তা করার জন্য প্রদেশ ভ্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পোল লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুরাচাতে বলেছেন, তিনি জানেন না যে এই রোহিঙ্গা অভিবাসীদের পাচারের পিছনে থাই ছিল কিনা। তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। এই সময়ে সরকার খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মানবিক সহায়তা দেবে।’
ডেপুটি পুলিশ প্রধান পোল জেনারেল রায় ইঙ্খাপাইরোজ, যিনি পোল লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুরাচাতেকে নিয়োজিত করেছিলেন, গতকাল বলেছেন, কারা অভিবাসীদের থাই জলসীমায় নিয়ে এসেছে সে ধারণা পুলিশের কাছে নেই। শিশু সুরক্ষা ও মানব পাচার বিরোধী কেন্দ্রের পরিচালক পল জেনারেল রায় বলেছেন, তারা মানব পাচারের শিকার হতে পারে। নৌবাহিনীর একটি নৌকা শনিবার একটি গোপন সংবাদের পর কোহ লিপ থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কোহ ডং-এ ৫৯ রোহিঙ্গাকে দেখতে পায়, যাদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ, ২৩ জন মহিলা এবং পাঁচ শিশু রয়েছে।
শনিবার সাতুনের গভর্নর একরাথ লিসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা বাংলাদেশ থেকে নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে নৌকাটি দ্বীপে তাদের নামিয়ে দিয়েছিল। এই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
নৌবাহিনীর মুখপাত্র পোক্করং মনথাটফালিন গতকাল বলেছেন, তারা একটি ট্রলারে বাংলাদেশ ছেড়েছে এবং কোহ ডংকে মালয়েশিয়ার ভূখণ্ড বলে অধিনায়ক তাদের নামতে নির্দেশ দেন। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের সাতুনের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং লাঙ্গু জেলা থানায় অবৈধ প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
নৌবাহিনী আন্দামান সাগর এবং মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী দ্বীপগুলোতে টহল বাড়াবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।